মুখ দিয়ে নিজের অজান্তেই “ও আল্লাহ”র বদলে ভুলে “ও মাই গড” বেরিয়ে এলো। এই রাতের দুইটা বাজে কুরআনের একটা আয়াত নিয়ে ভাবতে ভাবতে হতবাক হয়ে ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাম। আমি এত্ত অবাক জীবনেও হইনাই। এইটা আমি কি পাইলাম? ওয়াআআআও! সুবহানাল্লাহ! এটা কি আগে কেউ ভেবেছে?
আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমাদের একমাত্র স্রষ্টা আর একমাত্র উপাসনার যোগ্য আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন আল-কুরানের সুরা আন-নিসা (Women) এর শুরুতেই সমগ্র মানবজাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন,
“O mankind! Be dutiful to your Lord, Who created you from a single person (Adam), and from him (Adam) He created his wife (Hawwa), and from them both He created many men and women…”
“হে মানবজতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (হজরত আদম আলাইহিসসালাম) থেকে সৃষ্টি করেছেন, এবং যিনি ঐ ব্যক্তি থেকে (অর্থাৎআদম আলাইহিসসালাম থেকে) সৃষ্টি করেছেন তার সঙ্গিনীকে (অর্থাৎ হাওয়া আলাইহিসসালাম কে); আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী…”
আয়াতটার এই রাফ ট্রান্সলেশানটা পড়লাম মাত্র আর শুয়ে শুয়ে জাস্ট আয়াতটার সায়েন্টিফিক অথেনটিসিটি নিয়ে ভাবছিলাম। ভাবছিলাম আল্লাহর এই মেসেজটার পেছনে মাস্ট একটা সায়েন্টিফিক এভিডেন্স থাকবেই। সেটা কি আমরা এখনো খুঁজে পেয়েছি? তারপরেই দুপ করে মাথায় ব্যাপারটা ক্লিক করলো। আমি ব্যাপারটা আগে কোথাও শুনিনি, কোন ‘আলীম বা মুফাসসির এটা খেয়াল করেছেন কিনা তাও জানিনা। আপাততঃ জাস্ট সুবহানাল্লাহ বলে হা করে বসে আছি। ব্যাপারটা সোজা করে বুঝায়ে বলি।
সায়েন্সের স্টুডেন্ট হই কিংবা কমার্সের, আমরা সবাই এই বেসিক সায়েন্সটা সম্ভবত জানি। তারপরও আরেকবার বলি। মানুষের শরীরের প্রতিটা কোষের নিউক্লিয়াসে মোট ৪৬টা ক্রোমোজোম থাকে। এগুলো সব থাকে জোড়ায় জোড়ায়। ৪৬টার মাঝে প্রায় একই রকমের দুটা ক্রোমোজোম মিলেই এক একটা জোড়া তৈরী করে। এভাবে এরা মোট ২৩টা জোড়ায় থাকে। এর মাঝে ২২টা জোড়াকে (৪৪টাকে) একটা গালভরা নাম দিয়ে “অটোজম” ডাকা হয়। আর বাকি একজোড়া অর্থাৎ দুইটা ক্রোমোজোমকে “সেক্স ক্রোমোজোম” ডাকা হয়, কারণ এই দুইটা ক্রোমোজোমই নির্ধারণ করে দেয় যে বাবুটা কি ছেলে হবে নাকি মেয়ে?
X আর Y ক্রোমোজোম মিলে (XY) জোড়াটা তৈরী করলে ছেলে হয়।
X আর X ক্রোমোজোম মিলে (XX) জোড়া তৈরী করলে হয় মেয়ে।
এইটুকু মনে আছে?
এখন যদি একজন মেয়ে থেকে একজন পুরুষকে তৈরী করা হতো, তাহলে মেয়েটার দুইটা X ক্রোমোজম থেকে পুরুষের মাঝে একটা X আর একটা Y আসতে হতো। অর্থাৎ Y ক্রোমোজমকে নতুন করে আবার তৈরী হতে হতো। যেটা আসা মলিকিউলার লেভেলে আসলেই অন্নেক টাফ। এবং যেটা আসলে হয়নি। যেহেতু, পুরুষ থেকেই নারীকে তৈরী করেছেন আল্লাহ, এবং সেটা ক্লিয়ারলিই বলে দিয়েছেন, তার সিগনেচারও আমরা মলিকিউলার লেভেলে দেখতে পাচ্ছি। একজন পুরুষের কোষের সেক্স ক্রোমোজমে দুইরকম ক্রোমোজমই (X আর Y) থাকে। সেখান থেকে নারীকে শুধুমাত্র একরকম ক্রোমোজমের (X এর) জোড়া দিয়েই তৈরী করা হয়েছে বলেই নারীর সেক্স ক্রোমোজম জোড়াটা হচ্ছে XX, যেখানে পুরুষের জোড়াটা ছিলো XY। “পুরুষ থেকে নারী” সৃষ্টির এই নিখুঁত ক্রনোলজি আল্লাহ ছাড়া আর কারো পক্ষ থেকেই আসা সম্ভব না। আমার জন্যে এইটুকু sign ই যথেষ্ঠ।
ইয়া আল্লাহ, শুধু এক মলিকিউলার বায়োলজি দিয়েই তুমি আমারে পুরা বদলায়ে দিলা। পুরাই। সেই চমক দেখি এখনো শেষ হয়নাই।
নিজে নিজে কুরআনের একটা সিগনেচারের (আয়াতের) সাথে সায়েন্সের যোগসূত্র বের করতে পারাটা এই প্রথম। এত বড় ধাক্কা আমি জীবনেও খাইনাই। জীবনেও না।
“This is a blessed Scripture which We sent down to you [Muhammad], for people to think about its messages, and for those with understanding to take heed” (Saad, 38:29)
আরো তীব্রভাবে আমাদের বলেছেন,
“Will they not then ponder the Qur’an? Do they have locks on their hearts?” (Muhammad, 47:24)
এই দুইটা অসাধারণ আয়াতের মানে কি এই প্রথম হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
সুবহানাল্লাহ। সুবহানাল্লাহ। (How absolutely perfect is Allaah)
[ডিসক্লেইমারঃ আল্লাহ ব্যাপারটা এইভাবে নাও করে থাকতে পারেন। আমার ভুল হওয়াটাই এইক্ষেত্রে স্বাভাবিক যেহেতু সত্যিই কিভাবে আল্লাহ ব্যাপারটা ঘটিয়েছেন তার ডিটেইলস তিনি আমাদের জানাননি। আমি যেটা অনুভব করছি সেটা মোটেও বিজ্ঞান নয়, কিংবা বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের বাণীর মিল খুঁজে পাবার চেষ্টা নয়। এটা একান্তই একটা ব্যক্তিগত উপলব্ধি। যদি ভুল হয়ে থাকে আল্লাহ যেন আমার এই স্পর্ধাকে ক্ষমা করেন। আমীন।]
২৯শে শাবান, ১৪৩৫ হিজরী।
wow!!! shotti-e to!! u have a logic…but jhutu eta first shunlam ami ektu bhabachaka khe gesi….but i thing ei logic ta true howar possibility beshi…..u should discuss with ur seniors/friends[ sensible : p ] / teachers [jodi good relations theke thake]….what do u think??
LikeLike
পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ তোকে উত্তম পুরস্কার দান করুন। তোর পরামর্শ মাথায় থাকবে। কোন স্কলারের সাথে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করবো ইনশাল্লাহ।
LikeLike
খুবই ভাল লেগেছে। শেয়ার দিলাম।
LikeLiked by 1 person
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। জাজাকাল্লাহু খাইরান 😀
LikeLike
never thought this way. i knew from Maurice Bucaille’s book on “the bible quaran and the science” that most things are said in quaran in relation to what people knew then, not given scientific explanation. it is still unexplainable how and where did Muhammod knew these. Yes not to mention that there is some force or some existance behind the all earthly and universal creations as it is way too impossible to happen all these just by nature and not by precise articulate work of science. Even what goes in our finger tips is beyong present science to explain.
LikeLiked by 1 person
পড়ার জন্যে তীব্র ধন্যবাদ আর জাজাকাল্লাহু খাইরান। আর আপনি ঠিক বলেছেন।
LikeLike
I am amazed, thanks
LikeLiked by 1 person
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। বাকি লেখাগুলোও পড়ার আমন্ত্রণ রইলো 😀
LikeLike
you may include the Birth of Isha (Jesus) (A.Sm.)…. from single mother Mariyaam (A.Sm.) – XX he created Isha (A.Sm.) – XY….. this is the proof that Almighty Allah can do miracles, which science may not be able to explain ever!
LikeLiked by 1 person
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। ঈসা আলাইহিস সালামকে নিয়ে অনেকগুলো লিঙ্গুইস্টিক মিরাকেল আছে কুরআনে। আল্লাহ অনুমতি দিলে ভবিষ্যতে লিখবো ইন শা আল্লাহ।
LikeLike
Nice observation and write-ups. Atheism can be questioned by all the natural phenomena which amounts to infinity!
Regards Dr Manzur Ashaf
LikeLike
Thanks a lot for reading and jajakallahu khairan.
LikeLike
good effort
LikeLike
Thanks a lot for reading and jajakallahu khairan.
LikeLike
achcha vai sab Allah re ke banaise? Tar prayer kora ta ki dorkar nei? Eishob Felasi logic dia ki dhromo tike? Oinno Grohe jedin manush paoa jaibo shedin o tumi koiba eshob Quran a ase. Ekhon e koia falao. Biggani der ar kosto koira chesta korte hoibo na. Mone rakhba Allah amagore kisu e dey nai. Ja dise shob biggan. Darwinism poro mathamota, brainwashed.
LikeLike
গালাগালির জন্যে ধন্যবাদ। যারা অন্তসারশূন্য তারাই গালাগালি করে।
যাইহোক, আপনি দুটো কথা বলেছেন।
১ম টা হচ্ছেঃ আল্লাহকে কে বানিয়েছেন? প্রশ্নটার উত্তর আমি এই লেখায় দিয়েছিঃ http://www.shodalap.org/touaha/28748/
২য়টা প্রশ্ন না। অনুরোধ করেছেন ডারউইনিজম পড়ার জন্যে। আমি ডারউইন ভালোভাবেই পড়েছি। একাডেমিকভাবে এবং বিশ্বাসগত দুইভাবেই পড়তে ও জানতে হয়েছে। এই নিয়ে লিখছিও। নিচের লিঙ্কগুলো পড়ুনঃ
১। http://www.shodalap.org/touaha/28689/
২। http://bit.ly/1GTsCRd
৩। http://bit.ly/1Dsv00a
৪। http://bit.ly/1NZJOVz
আশা করি আপনি মাথামোটা, ব্রেইনওয়াশড নন। কাজেই লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। ভালো থাকবেন।
LikeLiked by 1 person